মানুষের কথায় কষ্ট পাবোনা ঠিক করেছিলাম।
নিজের কাছে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতিটা রাখতে পারলাম না বলে অনেক খারাপ লাগছে।
অনেক, অনেক, অনেক।
মানুষ আমাকে আঘাত দেবে, দিতেই থাকবে, দিতেই থাকবে, দিতেই থাকবে... ... ... এবং একসময় এটা গা সওয়া হয়ে যাবে, অথবা নিজেরই দোষে এমনটা হচ্ছে, এক হাতে তালি বাজে না ইত্যকার নানা ধরনের ভং চং করে দেখেছি নিজের সাথে। অনেক বার নিজেকে বলেছি সে সব কথা। কিন্তু কাজ দেয়না। আমি যেমনই হই, যেভাবেই মানুষের সাথে মিশিনা কেনো। যীশুখৃষ্ট হয়েও লাভ নেই। আমার পছন্দনীয় মানুষরাই সেটা বেশী করে করবে, এবং একটা সময় আমাকে বোঝাতে চেষ্টা করবে আমিই ভুল। আমার অনুভূতিগুলো ভুল। আমার “উচিত” সংবেদনশীল না হওয়া । এই ঔচিত্যবোধের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছি একেবারে। জীবনের এতগুলো বছর কাটলো, তারপরেও যখন “ভুল” কাটলো না, তখন এই ভুল নিয়েই হাঁটবো।
যাত্রাপথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, কোনকালেই তা ছিলোনা। তারপরেও বারবার পথের কাঁটা পায়ে বিঁধলে ব্যথা পাই কেনো, সেই ব্যথাতে কেঁদে আকুলিবিকুলি ই বা করি কেনো, জানিনা। ভবিতব্য, বোধ করি। আজ ২৭ শে সেপ্টেম্বর,২০১২ ভোর চারটা চল্লিশ মিনিটে এই সুমহান আত্মোপলব্ধি আবার হ’লো।
এটা একটা রহস্যই বটে, প্রিয়জনদের কাছ থেকেই আমরা কেন এত বেশি কষ্ট পাই! এর উত্তরটাও হয়ত সহজ। তাদের কাছ থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা করি বলেই হয়ত আমরা এত সহজে আর এত বেশি কষ্ট পাই। কিন্তু তারপরও প্রশ্ন থেকে যায়, প্রিয়জনদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা তো স্বাভাবিক, কিন্তু তারা প্রত্যাশা পূরণে এতটা অবহেলা কেন করে, এটা কি স্বাভাবিক কিছু?
উত্তরমুছুনজানিনা.........তবে যেটা নিয়ে লিখেছি সেই মানুষ্ নিয়ে এরকম চিন্তা একটু ডিস্টার্বিং, তারপরেও।
উত্তরমুছুন