১
গতকাল অনেকদিন পর জিমে গেলাম। প্রায় দু-আড়াই ঘণ্টা ওয়ার্কআউট করার পর ঝিমঝিম করছিলো লোয়ার ব্যাক,ব্যথায়। অনেকদিনের অনভ্যাসেও কিছুটা বা। কিন্তু খুব ভালো লাগলো। শীতে আবার যদি এই অভ্যেসটা শুরু করতে পারতাম কুঁড়েমি কাটিয়ে, খুব ভালো হতো। অনেককিছু করবার প্ল্যান করি, তারপর কেন যেন থিতিয়ে যাই। কেমন যেন স্থবির হয়ে গেছি আজকাল। ভালো লাগেনা অনেক কিছুই। তারপরেও চেষ্টা করি ভালো থাকার। আফটার অল, চেষ্টার আরেকটা নামও তো জীবন।
২
ইশকিয়া নামে একটা হিন্দি ছবি দেখলাম। বস্তুতঃ কিছুটা আমার সহসাথীর চাপে পড়েই বলা যায়। বাণিজ্য বাদে মেইনস্ট্রিম হিন্দি মুভির ব্যাপারে আমার আগ্রহ শূন্য নয় বরং কন্টিনামে মাইনাসের দিকেই থাকবে। আমার জন্য অর্থহীন, মাঝেসাঝেই মাথা ধরানো টরমেন্ট আর টু লাউড। কিন্তু এই ছবিটা ভালো লেগেছে। পুরনো দিনের ওয়েস্টার্ন ছবির ফর্মুলামাফিক মনে হলো কিছুটা। উচ্চকিত অভিনয় আছে, কিন্তু সেটা কখনোই গল্পকে ছাড়িয়ে যায়নি।আর গ্রাম্য পটভূমিতে ছবির টুইস্টটাও সুন্দর মানিয়ে গ্যাছে। বিদ্যা বালানকে আমার ভালো লাগে। আশির দশকে বেড়ে ওঠার অনুষঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত যে নাসিরুদ্দিন শাহ্, তাকেও। শুধুমাত্র আরশাদ ওয়ার্সির ব্যাপারে সন্দিহান ছিলাম, সে'ও দেখা গ্যালো ভালোই উতরে গেছে। বিশাল ভরদ্বাজ নন-মেইনস্ট্রিম ছবি যখন বানায় তখন ভালোই বানায় দেখছি। ওমকারাও ভালো লেগেছিলো। কিন্তু সখেদে বলিঃ হিন্দি ছবির বিশাল দর্শকের খুব ছোট্ট একটা অংশকেই এই ধরনের ছবি আকৃষ্ট করে। সেজন্য হিন্দির ফর্মুলাবাঁধা যুগের শেষ ইহজনমে দেখে যেতে পারবো বলে মনে হয়না। ছোটখাটো একচিলতে আলোর মতো এইরকম একটা-দু'টো ছবিকে আমি এন্টারটেইনমেন্ট বলতে রাজী আছি। টরমেন্ট নয়।
৩
প্রায় বছর আষ্টেক পর এই পোড়ার দেশে পেয়ারা দেখলাম। গত দু'তিন সপ্তাহ সুপার মার্কেটে বেশ বড় কাজী পেয়ারা সাইজের কচকচে পেয়ারা দেখে পুরো এরকুল প্যোয়রোর রহস্যভেদের মতো খুশি হয়ে উঠেছিলাম। ট্রেনে করে আনতে আনতে আনতেই কাঠবেড়ালীর মতো কুচকুচ করে একটা শেষ করলাম। ভাবতেই ভালো লাগছে ফ্রিজে আরও একটা আছে। ইস্স্স্! কী প্রচণ্ড পছন্দ যে করি এই ফলটা! দেশ ছাড়ার সাথে অনেক কিছুকে বিসর্জন দিয়ে খুব খুশি হয়েছিলাম, কিন্তু বিচ্ছেদের বেদনা কাঁটার মতো বুকে বিঁধে থাকে যে এই তুচ্ছ পেয়ারা আর আমড়ায়, এমনভাবে কখনো বুঝিনি। অমৃতের মতো লাগলো খেতে! তারপরই আবার দুঃখ বিলাস, কত্তদিন ডাল দিয়ে আমড়ার টক খাইনা। মা যে করতো, একটা পাঁচফোড়ন দিতো আর চারপাশে কী মিষ্টি একটা সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়তো। সেই গন্ধে আনচান হয়ে আমার বিকেলবেলাটা গোধূলির রানী গোলাপী আলোয় আর পাঁচফোড়নের গন্ধে কেমন মাখামাখি হয়ে গ্যালো... ... ...
৪
পরীক্ষা... ... আসছে... ... ... এগিয়ে... ...
ভয়... লাগছে... ...
৫
ইনসাইটের জেনি ব্রকিকে আমার খুব ভালো লাগে। ভদ্রমহিলা খুব ভালো কম্যুনিকেটর। আর দুনিয়ার এত সমস্ত ইন্টারেস্টিং জিনিস নিয়ে আলাপ করেন যে পুরো অনুষ্ঠানটা একটা অন্য মাত্রায় চলে যায়। রেসিজম নিয়ে ওনার একটা এপিসোড এখনও আমার মাথায় গেঁথে আছে। মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি,যদি আমার একটা চাকরি থাকতো যেটা ঠিক জেনি ব্রকির মতো ইন্টারেস্টিং।
দারুণ হতো, তাই না?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন