বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৩

অ-সুখ বি-সুখ?

সুখ ব্যাপারটা ধরে নিচ্ছি অ-সুখের বিপরীত।
আমার কোনো অ-সুখ হয়নি। মানে, শারীরিকভাবে।
তারপরেও আমি জানি, আমার গভীর অ-সুখ।
শালার জীবন, বালের সংসার, ছাতার বিয়ে।
দুনিয়াটা চৌকোণা একটা স্ক্রিনে এসে আটকে গেছে। ঘরে বাইরে সর্বত্র। 
আগে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকলে মনে হতো একটা নতুন দুনিয়ার জানালা খুলছে চোখের সামনে।
এখন বমি আসে।
শারীরিক স্বাচ্ছন্দ্য আমার আরব্ধ হবার কথা ছিলো, কারণ মানুষের পঙ্গুত্ব মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। অবশ্যম্ভাবী সেই পরিণতি আমরা কেউ এড়াতে পারবোনা, কিন্তু সেজন্য ডেকে সাড়ম্বরে তাকে নিমন্ত্রণ জানানোর কোনো কারণ দেখিনি।
মানে, এতোদিন দেখিনি। 
এখন দেখছি অর্থহীন, স্থবির জীবনের চেয়ে মৃত্যু একরকমভাবে ভালো।
যারা এইগুলো শুনে হাঁহাঁ করে উঠতো, তাদেরকে দু'টো লাথি মেরে বলতে ইচ্ছে করছে, আমার জীবনটা কয়েক বছর, না তাও লাগবেনা, কয়েক মাস
যাপন করো, তারপর বোলো।
মানুষকে বোঝানো কঠিন। অনেক মানুষের সাথে মেশা, কথা বলা এজন্য বাদ দিয়েছি।
পৃথিবীটা আমার জন্য কেবলি অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে।
মনের গভীরের অসুখের কথা আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের অনুষঙ্গে একেবারেই ব্রাত্য। বড়জোর হাস্যকর ফেইসবুক স্ট্যাটাস আর দু'চারজনের আহাউহুর মধ্যে সেটা সীমিত। এখন ফেইসবুকের সেসব দেখলেও আমার বমি পায়। এটা আমার কাছে ফেইকবুক।
বুকের গভীরে অসুখ নিয়ে খুব বড় কিছু সৃষ্টি করা যায় কি?
ইতর প্রাণীর মতো শুধু বংশবৃদ্ধির জন্য জীবন যাপন করা গেলে মন্দ হতোনা, কিন্তু সেটা হতে হলে ইতর প্রাণী হিসেবে পুনর্জন্ম নিতে হবে। সেটা তো আমার হাতে নেই।
মনের কথা খোলাখুলি বলায় যে আগল সেটা আমার বুকের ওপর চেপে বসেছে ভীষনভাবে।
খোলাখুলি শুধু এটুকুই বলা যায়- এ জীবনটা আমার স্বপ্নে নয়, দুঃস্বপ্নেও ছিলোনা।
কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা হ'লো এ জীবনটাকে বদলাবার জন্য আমি কি করছি?
কিস্যু না ! ফাকিং নাথিং!!


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন