খুব তৃষ্ণা হচ্ছে তোমার সাথে কথা বলার জন্য
ঠিক সেই পুরনো দিনগুলোর মতো-
গলা শুকিয়ে তেষ্টা পাচ্ছে
তুমি বুঝতে পারছো?
কখনো কখনো হয় এমন, জানো?
খুটখাট করে কিবোর্ড টিপি -
আবার ব্যাক বাটন চেপে মুছি-
স--ব |
আমার ইচ্ছে আমার স্বপ্ন
ঠোঁটের ওপর ভয়ে কাঁপা স্বেদ
দুই উরুর মাঝখানের অস্বস্তি - বুকের ধুকপুকানি
অকারণ মনখারাপ, আঁধারকরা মুখ
সব মুছে ফেলি |
খুব ইচ্ছে করে তোমাকে গোটা গোটা অক্ষরে সেই ছোট্টবেলার মতো
রুলটানা কাগজে চিঠি লিখি
মোটা নিবের কলম থাকবে, কাজের কথা শেষ হবে
কিন্তু অকাজের কথা কিছুতেই ফুরোবে না
তোমায় চিঠি দিয়ে ছুঁতে ইচ্ছে করে
তোমায় লিখে লিখে আদর করতে ইচ্ছে করে
বলতে ইচ্ছে হয় যে পোষা মাছদুটো মরে গ্যাছে
সাথে আমিও কিছুটা
তোমার রেকর্ড করা কবিতার দুটো লাইন ভরাট গলা এখনো
শুনি -
রাতে ঘুম না পেলে ফোনে কান চেপে
অপার্থিব ইথারের তরঙ্গ তুমি হয়ে যাও
তোমার ফিসফিস এখনো শুনতে পাই
আমার গুনগুন তোমার নি:শ্বাস ভারী করে দিলো-
এখনো স্পষ্ট রেকর্ডিংয়ে
কিন্তু কী আশ্চর্য বলো!
তুমি আকাশের তারা হয়ে গেছো যুগান্তের আগে
তুমি কালো রাতের অন্ধকারে মিশে গেছো দশকের আগে
তুমি অন্তহীনতায় ডুবে গেছো শতকের আগে
তবু কেনো শুধু তোমায় শুনি?
কেনো তোমার জন্যই ছটফটানি বুক ব্যথা
শ্বাসবায়ু আটকে যাওয়া কালের অন্ধকারে?
শরীর কেনো তোমার জন্যই জাগে
মনে তীব্র ক্ষতের আঁচড় লাগে
তোমার একমুহূর্তের নিষ্ঠুরতার কথা
একঝলকে রক্তের মধ্যে তোলপাড় তোলে?
মৃত্যু তোমাকে নেয়নি তো, আমি জানি
জীবন নিয়েছিলো
তোমার নতুন জীবন, না'কি পুরনোতেই নতুন খুঁজেছিলে-
পাওয়া যায়? পেলে?
শেষঅব্দি সেই তো মৃত্যুর উৎসবে বলি হলে |
এই রোশনাইয়ের সন্ধ্যেতে, কেনো বলোতো
সেই তুমি
সেই ভরাট গলার শরীর কাঁপিয়ে দেওয়া
আমূল মন নাড়িয়ে দেওয়া তুমি,
ভীষণ অন্ধকারে কেবলি টানছো আমায়?
আমি ডুবছি,আমার শ্বাসরুদ্ধ করছো
আমায় আবার অতলে টানছো কেন তুমি?
তুমি মরে নতুন জীবন পেলে
বেশ হলো
আমি বেঁচেও সেই পুরনো মরাই মরছি - বারবার
কেনো তুমি লোভ দেখাচ্ছো তোমার সাথে শ্বাস মেলাতে?
জীবনে হয়নি, মৃত্যুতে হবে বলে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন