হতশ্বাস, ভেঙে পড়া ন্যুব্জের মতো।।
ভিতরে -------গহীনে ----------
কেউ বলবার আগেই
বিবমিষা বলে ওঠে - ফিরে যাও
ফিরে যাও অলখে-
যাও ফিরে প্রভঞ্জন, ফিরে যাও বরষার ভারে নত ডাঁটা
পরিপাটি বুননের কাজ করা জামা, কফির কাপে ওড়া অভিলাষী ধোঁয়া
সব বলে ফিরে যাও - কাছে এসে ফিসফাস ঘুমের ঘোরেই বলে
জেগো না, উঠোনা তুমি --- ফিরে যাও
ভ্রূণ হও, মায়ের জঠরে যাও ক্লেদ হও, মল হও
লহুতে কাদাতে মাটি-জড় হও - এসোনা তুমি
ফিরে যাও!
দেবশিশু অবয়বে ফিরে যাও ---
অরিসূদনের লাগি - অরিঘ্নী হয়ে ওঠো -
মদালসা আশ্বাস যদি দেয়- ফিরে যেও তবু, এসোনা তুমি
ত্রিহায়ণী চিৎকার শোনো যদি, মান্দার পাতার ফাঁকে যদি দ্যাখো চাঁদের আভাস
তামস সন্ধ্যায় যদি শহরের কানাগলি ছেড়ে
ডাক দেয় মন্দাক্রান্তা নদীটির পারে - কোনো শব, কোনো জিত- অজিতকুসুম যদি বলে এসো, চলো। হাত ধরে
জিতসোমা রমণীর শঙ্কাকুল চোখ ব্রীড়ানতা হরিণীর পোষ যদি মানে
কলম -দোয়াতদানি-টেবিল-কাগজ
আর্তি না করে যদি আরতিতে টানে - তবুও যেওনা তুমি ।
ডালচিনি ঘষে দুই কব্জিতে কষে বাঁধন লাগিয়ে দিও, ক্যাম্বিসের ব্যাগ
সরিষা ক্ষেতের আলে হলদের সারি - করীষে মাড়িয়ে
চামড়ার চটিজোড়া সযত্ন গলিয়ে নিয়ে হেঁটে যেও তুমি
গন্ত্রীরথ নয়, খেরো মাটি উড়োখুড়ো ফিরুক তোমার সাথে
এসোনা তুমি , জেনে নিয়ো পরিজ্ঞান সাধারণ্যে নয়
জীমূতবাহনেরই অপ্সরা মেলে।।
অবসাদ! অবসাদ ছুঁয়েছে আমায়, জিরকন হীরে নয়
ডাহুকিনী ডাকে। বেপথু আমিও যাই মোহমদে ঘোর
অলঙ্ঘ্য বেরঙ এই নিশানার নেশা
ঘিরে থাক না ফিরুক হোক ঘনঘোর।।
দূরদেশী সে বালক রাখাল না হোক, অনিকেত ঘর খুঁজে হোক নিরুপাধি
তবুও এষণা থাক বোষ্টুমির গানে - তুমি ফিরে যেও শুধু এসোনা এখানে।।
১৯ আগস্ট,২০০৯ সন্ধ্যা ৭টা ১মিনিট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন