প্রতিভা হচ্ছে ৯৯% পরিশ্রম আর ১% ভাগ্য। আমি, হলফ করে বলতে পারি এই দুইয়ের কোনোটাই আমার নেই।
তারপরেও আমার ভেতরে টুকটাক কে যেন প্রায়ই কড়া নাড়ে।
বারবার আমাকে বলেঃ তোমাকে লিখতে হবে।
নিজের ভেতরে ভীষণ নিঃসঙ্গ আমি শেষ পর্যন্ত আমার লেখালেখির কাছেই ফিরে আসি।
আমার ভেতরের আমিটাকে কেউ অতটা বোঝেনা, যতটা আমার লেখাগুলো বোঝে।
মরিচীকাভিমুখী তৃষ্ণার্ত পাখির ছটফটানি, আমার ভেতরে এখনও - তুমুল এবং তীব্র, সে ছটফটানি কাকে বোঝাই?
অপসৃয়মান জীবনের ব্যর্থতা যতটা সহজে বলে ফেলা যায় ভেবেছিলাম, আদতে দেখছি ব্যাপারটা তত সহজ নয়। স্কুলে প্রথম যখন সরণ পড়লাম, সত্য স্যার কী বলেছিলেন? সারাদিন একজন মাঝি স্রোতের বিপরীতে নৌকা চালালো, কিন্তু সে তীর থেকে এতটুকুও দূরে যেতে পারলোনা। তাতে তার সরণ হয় জিরো।
অনেক ক'টা বছর ক্রমাগত বিরুদ্ধ স্রোতের যাত্রী হয়ে আজ নিজেকে অনেক বেশি করে ওই মাঝিটার মতো মনে হয়। নৌকোটা কিছুতেই পার থেকে সরছে না। দিনমাসবছরযুগযুগান্তকালকালান্তরে আমি শুধু নৌকা ঠেলি আর স্বপ্ন দেখি পাল হাওয়ায় উড়ছে।
কে দেখালো আমার মত এই মাঝিকে প্রাণের স্বপ্ন?
প্রণমি হে প্রকৃতি তোমায়, আমি হাল ছেড়েও বারবার কেন হাল ধরতে যাই?
কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন? কেন?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন